কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা
কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা

কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা
কফি সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। ফোটানো পানির সাথে কফি বীজ দিয়ে এটি তৈরি করা হয়ে থাকে। কফি চেরি নামক ফলের বীজ থেকে এই কফি বীজ তৈরি করা হয়ে থাকে। বিশ্বের বহু দেশে কফি চেরি ফল চাষ করা হয়ে থাকে।
এটি পান করতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর বহু স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। এখানে আমরা কফি’র বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। নিচে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কফি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
২০১৫ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায় যে, প্রতিদিন সকালে নিয়মিত এক কাপ কফি পান করলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
লিভারের ক্ষতি রোধ করে
মদ্যপানের কারণে লিভার বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আর এই ধরনের ক্ষতি থেকে লিভারকে রক্ষা করতে কফি’র বিকল্প নেই। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন নিয়মিত ২ কাপ কফি পান করেন তাদের লিভার সিরোসিসের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪৪ শতাংশ কমে যায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
হৃদরোগ শরীরের রক্তনালীর এক ধরনের রোগ। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত কফি পান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন দুই বা তিন কাপ কফি পান করলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ হ্রাস পায়।
বিপাক প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করে
কফি পান করলে বিপাক প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া কফি পান করলে রক্ত প্রবাহ দ্রুত চালিত হয়। ফলে হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়।
হতাশা হ্রাস করে
প্রতিদিন এক বা দুই কাপ কফি পান করলে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা যায়। কফি পান করলে মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের গতি বৃদ্ধি পায়।
ফলে হতাশা থেকে মুক্ত থাকা যায়। ২০১৩ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত কফি পান করে তাদের মধ্যে আত্নহত্যার প্রবণতা ৪৫ শতাংশ কম থাকে।
জেনে নিন – আপেলের ১০ স্বাস্থ্য উপকারিতা
শারীরিক কার্যকলাপ সহজ করে তোলে
প্রতিদিন শারীরিক ভাবে আমাদেরকে নানা ধরনের কর্ম সম্পাদন করতে হয়। যেমন, হাটাঁহাটি, সিড়িঁ বেয়ে উপরে উঠা ইত্যাদি। কিন্তু এই সব করতে গলে আমরা অনেকেই হাপিঁয়ে উঠি এবং ক্লান্ত বোধ করি। আর প্রতিদিন নিয়মিত কফি পান করলে এই সব দৈনন্দিন কাজকর্ম গুলো অনেক সহজেই সম্পাদন করা সম্ভব।
চুল গজাতে সহায়তা করে
কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ডার্মাটোলজি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্যাফেইন চুলের সাধারণ ক্ষতি রোধ করে এবং চুল গজাতে সহায়তা করে।
হজমজনিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়
২০১৭ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত কফি পান করলে হজমজনিত রোগের কারণে মারা যাওয়ার ঝুঁকি ২০ শতাংশ হ্রাস পায়।
চোখকে সুরক্ষিত রাখে
আপনার চোখকে সুস্থ রাখতে চান ? তাহলে নিয়মিত কফি পান করুন। কারণ কফি চোখের রেটিনার অবক্ষয় রোধ করে। ফলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও রাত কাঁনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। ু
খুশকি থেকে মুক্তি দেয়
খুশকি থেকে মুক্তি পেতে ব্যয়বহুল পণ্য ক্রয় না করে কেবল মাত্র কফি বীজ ব্যবহার করেই মুক্তি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কফি বীজের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে নিমিষেই আপনার মাথা থেকে খুশকী দূর হবে।
দাঁতের ক্যাভিটি প্রতিরোধ করে
ব্রাশ করলেই দাঁতের ক্যাভিটি দূর হয় না। ২০০৯ সালে জার্নাল অব কনজারভেটিভ ডেন্টিস্টি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গছে যে, নিয়মিত কফি পান করলে দাঁতের ক্যাভিটি দূর হয় এবং ক্ষয় রোধ করে। তবে কফি পান করলে দাঁতে দাগ পরে যেতে পারে।
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
২০১৫ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত দুই কাপ কফি পান করে তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেকের বেশি কমে যায়।
মাংস পেশীর ব্যথা কমায় – কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা
হঠাৎ করে খেলাধুলা করলে অথবা জিমে গিয়ে ব্যায়াম করলে পেশীতে মারাত্নক ব্যথা অনুভূত হয়। কফিতে থাকা উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন মাংস পেশীতে অনুভূত যে কোন ধরনের ব্যথা উপশম করতে সক্ষম।
কফিতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এক সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে, কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়
কফিতে থাকা ক্যাফেইন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ফলে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।