কেন ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের সমস্যা বেশি হয়

কেন ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের সমস্যা বেশি হয়

কেন ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের সমস্যা বেশি হয়

কেন ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের সমস্যা বেশি হয়

 

ডায়াবেটিস রোগীর পা। আমরা এই পায়ের বিষয়ে কতটুকু যত্নশীল? কিছু তথ্য তুলে ধরা হল।  আপনি জানেন কি? পৃথিবীতে যত রোগীর পা কাটা হয় তার ৮৫ শতাংশ হল ডায়াবেটিস রোগীর পা। ১৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

আমরা জানি ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে। ইনসুলিনের অভাবে দেহকোষে গ্লুকোজ প্রবেশ করতে পারে না ফলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তনালী ব্লাগ হয়ে যায় এবং পায়ের অনুভূতি শক্তি আস্তে আস্তে কমে যায়।

এবং ভিবিন্ন জটিলতা দেখা দেয় যেমন, পা ফুলে যাওয়া, পায়ে আঘাত লেগে ক্ষত হয়ে না শুঁকানো, ফোস্কা পড়া, ক্ষত স্থানে পচন (গ্যাংগ্রিন) হতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীর পায়ে কি কি ধরণের জটিলতা হতে পারে এবং কেন হতে পারে

  • রক্তনালী ব্লাগ- অনেকদিন ধরে ডায়াবেটিস থাকার কারনে আস্তে আস্তে রক্তনালী ব্লাগ হয়ে যায় আর রক্তনালী ব্লাগ হওয়ার কারণে পরবর্তিতে নানান ধরণের জটিলতা হয়ে থাকে
  • অনুভূতি শক্তি কমে গেলে- রক্তের প্রবাহ যখন বাঁধাগ্রস্ত হয় তখন অনুভূতি শক্তি কমতে থাকে
  • রক্তনালী ব্লগ ও অনুভূতি শক্তি দুটোই হতে পারে- এই দুটি সমস্যা একটি আর একটির সাথে পরিপূরক
  • ছত্রাকের আক্রমণ- পায়ে বিভিন্ন ভাবে ছত্রাকের আক্রমন হতে পারে
  • ক্ষত হওয়া- হটতে গিয়ে খোঁচা লাগা, পায়ের নিচে কিছু ঢুকে যাওয়া বা আঘাত লেগে ক্ষত হতে পারে
  • পা ফুলে যাওয়া- অনেক সময় লম্বা জার্নি করলে, পা ঝুলিয়ে রাখলে, ব্যাথা পেলে পা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • পুঁজ বের হওয়া- পায়ে ব্যাথা লেগে ক্ষত হয়ে পুঁজ বের হতে পারে
  • নখ উঠে যাওয়া- খোঁচা লেগে নখ উঠে যেতে পারে
  • ফোস্কা পড়া- আমরা যে জুতা পরি সেই জুতার কারণে ফোস্কা পরতে পারে
  • পায়ে ব্যাথা পাওয়া- হাটার সময় পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথা অনুভব করা
  • পা কেটে যাওয়া- পায়ে ক্ষত হয়ে পুঁজ বের হয়ে পচন ধরলে (গ্যাংগ্রিন) এর কারণে পা কেটে ফেলতে হয়

আরো পড়ুন – ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও সনাক্তকরণ

ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের যত্ন ও সর্তকতা

  • নিয়মিত পায়ের পরীক্ষা করা।
  • পায়ে সঠিক মাপের ও আরামদায়ক জুতা ব্যাবহার করা।
  • খালি পায়ে না হাঁটা
  • পায়ে কোন প্রকার আঘাত যাতে না লাগে সে বিষয়ে সর্তক থাকা
  • পায়ের অনুভূতি নিয়মিত পরীক্ষা করা
  • অতিরিক্ত গরম পানি এরিয়ে চলা কারণ পায়ের অনুভূতি কমে যাবার কারণে গরম অনুভব হয় না ফলে পুড়ে যাবার সম্ভবনা থাকে
  • নিয়ম মেনে নখ কর্তন করা
  • অতিরিক্ত টাইট মোজা যা রক্ত চলাচল করতে সমস্যা হয় তা পরিহার করা
  • জুতার আকৃতি পরিবর্তিত হলে না পরা
  • পায়ের আঙ্গুলের মাঝে পানি থাকলে সবসময় মুছে ফেলা
  • পা অতরিক্ত শুকনা বা খসখসে থকলে লোসন ব্যাবহার করা
  • অতিরিক্ত লোশন ব্যাবহারে সতর্ক থাকা যাতে ফাঙ্গাস না পরে
  • ধূমপানের অভ্যাস থাকলে পরিহার করা

পায়ের যত্ন নিন, নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে থাকুন পায়ের জটিলতা থেকে সর্তক থাকুন। শরীরের প্রতিটি অঙ্গই গুরুত্বপুর্ন । পঙ্গুত্ব কারো কাম্য নয়।