আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে যে ৬ ধরনের খাবার কখনো খেতে পারবেন না

ওজন কমাতে চান তাহলে যে ৬ ধরনের খাবার কখনো খেতে পারবেন না

আপনি যদি ওজন কমাতে চান

আপনি যদি ওজন কমাতে চান

আপনি কি অতিরিক্ত স্বাস্থ্যবান? আপনি যদি অতিরিক্ত স্বাস্থ্যবান (মোটা) হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই নানা সমস্যা মোকাবেলা করছেন। ফলে আপনার জন্য ওজন কমানো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সত্যি বলতে ওজন কমানো খুবই কঠিন।

আপনি যদি সত্যিকার অর্থে ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে অনেক সুস্বাদু খাবারও গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এখানে আমরা ওজন হ্রাস করতে হলে যে সকল খাবার গুলো কখনো গ্রহণ করা যাবে না তা নিয়ে আলোচনা করবো।

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার

আপনি যদি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার যেমন, বিস্কুট, কেক, রুটি ইত্যাদি খান তাহলে কার্বোহাইড্রেট গুলো সাধারণ সুগারে রুপান্তরিত হয় এবং সরাসরি তা আপনার রক্ত প্রবাহে চালিত হয়।

ফলে আপনার দেহে অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরি করে। তাছাড়া এই ধরনের খাবার গুলো হজম হতে অনেক সময় নেয়।

তাই ওজন কমাতে হলে অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গুলো পরিহার করতে হবে।

হিমায়িত খাবার          

হিমায়িত খাবার গুলো খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। তাজা হিমায়িত খাবার গুলোতে সাধারণত সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে।

আর সোডিয়াম আপনার দেহে অধিক সময় পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে। ফলশ্রুতিতে দেহ ফুলে যায়।

তাছাড়া হিমায়িত খাবার গুলোতে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে। এর ফলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। পড়ুন – তিন দিনে আড়াই কেজি ওজন কমাবেন যেভাবে। 

উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং দেহকে ফিট রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার গ্রহণের ফলে দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে সাধারণত প্রক্রিয়াজাত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গুলোই বেশি ক্ষতিকর।

তাই প্রক্রিয়াজাত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ভাবে কম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরী। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল গ্রহণ করা যেতে পারে।

ফলের জুস

উদাহরণস্বরুপ, আপনার যদি কমলা লেবু খাওয়ার ইচ্ছে হয় তাহলে আপনি এক সাথে একটি বা ‍দুইটি কমলা খেতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনি কমলা লেবুর জুস খেতে চান তাহলে এক গ্লাস জুস তৈরি করতে অনেক গুলো কমলা লেবু লাগবে।

ফলে আপনার দেহে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করবে। যা ওজন হ্রাস করার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করবে। তাছাড়া ফলের জুস খেলে তাৎক্ষণিক ভাবে রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। 

জেনে নিন – তেজপাতার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যগুণ

কৃত্রিম ভাবে তৈরি মিষ্টি পানীয়

সোডা ও চিনি যুক্ত করে যে সকল পানীয় তৈরি করা হয়ে থাকে তা দেহের জন্য ক্ষতিকর। সেভেন আপ, স্প্রাইট, কোকা কোলা, পেপসি ইত্যাদি পানীয় গুলো মিষ্টি জাতীয় পানীয়ের অন্তর্ভূক্ত।

পাশাপাশি এই সব পানীয় দেহের ওজন বৃদ্ধি করে। তাই এই সব পানীয়ের পরিবর্তে প্রাকৃতিক পানি পান করা উচিত।

অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়

অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় দেহের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি নানাবিধ ক্ষতি সাধন করে থাকে।

বিয়ার, ভোডকা, রেড ওয়াইন, হোয়াইট ওয়াইন ইত্যাদি অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ের অন্তর্ভূক্ত। ওজন হ্রাস করতে হলে অবশ্যই অ্যালকোহল জাতীয় সব ধরনের পানীয় বর্জন করতে হবে।