গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন যেভাবে

গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন যেভাবে

গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ

গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ

যে সময়ে একজন নারীর শরীরে সন্তান বৃদ্ধি লাভ করে সে সময়কে গর্ভাবস্থা বলা হয়ে থাকে। গর্ভধারণের পর থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গর্ভধারিণীর শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অতীব জরুরী।

নিরাপদ প্রসবের জন্য গর্ভধারিণী মাকে অবশ্যই মানসিক ভাবে খুব শক্তিশালী হতে হবে। এক্ষেত্রে তার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া আবশ্যক। এখানে আমরা কিভাবে গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভধারিণী মা তার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করবো।

১. কথা বলুন

গর্ভাবস্থায় যে কোন মহিলাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আর উদ্বিগ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই অবস্থায় আপনি আপনার উদ্বেগ গুলো সম্পর্কে আপনার স্বামী, পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুদেরকে বলুন।

এর ফলে আপনি মানসিক ভাবে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি এই ধরনের অনলাইন সার্পোট গ্রুপ গুলোতে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন। বর্তমানে এই ধরনের অনলাইন সার্পোট গ্রুপের অভাব নাই।

২. যে কাজ গুলো করতে আনন্দ পান তা করার চেষ্টা করুন

আপনি সচরাচর যে সকল হালকা কাজ গুলো করতে ভালবাসেন এই সময়ে এই কাজ গুলো বেশি বেশি করতে পারেন। এতে আপনি মানসিক ভাবে কিছুটা আনন্দিত হতে পারবেন।

উদাহরণস্বরুপ, আপনি যদি বাহিরে খেতে পছন্দ করেন তাহলে স্বামী বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোন একটা রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে পারেন।

৩. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন

গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নত করতে হলে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের বিকল্প নেই। তাই গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা জরুরী। তাছাড়া শিশুর ঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্যও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরী। 

৪. নিজেকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করুন

এই সময়ে নিজেকে উদ্দিপ্ত রেখে হতাশা মুক্ত থাকা উচিত। আর নিজেকে হতাশা মুক্ত ‍ও উদ্দিপ্ত রাখতে হলে ব্যায়ামের বিকল্প নেই।

তবে এক্ষেত্রে ভারী ব্যায়ামের পরিবর্তে হালকা ব্যায়াম গুলো অনুশীলন করতে হবে। আর হালকা ব্যায়াম হিসেবে হাটাঁহাটিঁ, সাতার ইত্যাদিকে বেছে নিতে পারেন।

৫. পরিবারের সদস্যদের কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করুন

যে কোন ধরনের উদ্বেগ দূর করতে পরিবারের সদস্যদের বিকল্প নেই। এই সময়ে পরিবারের সদস্যরাই আপনাকে বিভিন্ন ভাবে সর্বোচ্চ সার্পোট করতে পারবে।

তাই সব সময় পরিবারের সদস্য হিসেবে মা, শাশুড়ি, বোন, দাদীকে নিজের কাছে রাখার চেষ্টা করুন।

জেনে নিন – শিশুর চোখ ভালো রাখতে যা করবেন

৬. ইতিবাচক প্রত্যাশা করুন

এই সময়ে কোন ধরনের নেতিবাচক চিন্তা করবেন না। সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন।

সেক্ষেত্রে ভাবুন যে, সুস্থ ভাবে সন্তান প্রসব করতে পারলে আপনি মাতৃত্বের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন এবং একটা বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। তাছাড়া ভাবুন যে, প্রসবের পর আপনি হতাশা থেকে মুক্ত হয়ে আনন্দঘন জীবন যাপন করতে পারবেন।

৭. জন্ম দানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন

সন্তান ধারণের পর আপনার দেহ সে সন্তানকে কিভাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করে এবং এ সময় আপনার অঙ্গ গুলো কিভাবে কাজ করে তা জানার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি কিভাবে সন্তান প্রসব করা হয় সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করুন।