গ্রিন টি এর ৭ টি চমৎকার স্বাস্থ্য উপকারিতা দেখে নিন

গ্রিন টি এর স্বাস্থ্য উপকারিতা

গ্রিন টি এর স্বাস্থ্য উপকারিতা

গ্রিন টি এর স্বাস্থ্য উপকারিতা

সারা বিশ্বে গ্রিন টি একটি জনপ্রিয় পানীয়। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা শরীরকে তাৎক্ষণিক ভাবে সজীব করে তুলতে পারে।

গ্রিন টি পান করলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ওজন কমে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এখানে আমরা গ্রিন টি এর ৭ টি চমৎকার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। নিচে তা বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।

১. স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়

গ্রিন টি’তে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যার মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও পলিফেনল অন্যতম। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।

আর পলিফেনল দেহে ক্ষতিকর র‌্যাডিকাল গঠিত হতে বাধা প্রদান করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া গ্রিন টি’তে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে।

২. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে

গ্রিন টি’র মূল উপাদান ক্যাফেইন। এতে ক্যাফেইন এর পরিমাণ কফি’র চেয়ে কম থাকলেও তার কার্যকারিতা খুব বেশি।

এটি মস্তিষ্কের ডোপামিন, নিউরন ও নিউরোট্রান্সমিটারকে অধিক কর্মক্ষম করে তুলে। ফলে মেজাজ উন্নত হয় এবং স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। জানুন – কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা

৩. দেহ থেকে চর্বি কমায়

যেসব খাদ্য দেহ থেকে চর্বি কমাতে সহায়তা করে তাদের মধ্যে গ্রিন টি অন্যতম। এটি দেহের বিপাকীয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহ থেকে দ্রুত চর্বি হ্রাস করে।

৪. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির ফলে ক্যান্সার হয়ে থাকে। এর ফলে সারা বিশ্বে প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যূ ঘটে।

চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব তৈরি করে।

আর যেহেতু গ্রিন টি অ্যান্টি অক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস তাই এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে অত্যন্ত সহায়ক।

গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল মহিলা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ কমে যায়।

আর যে সকল পুরুষ নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৪৫ শতাংশ কমে যায়। 

৫. ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দাঁতের সমস্যা দূর করে

গ্রিন টি’তে ক্যাটচিন নামক যৌগ থাকে। যা দাঁতের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে। পাশাপাশি এটি বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে দাঁতকে রক্ষা করে। তাছাড়া এটি দাঁতের ক্যারিজের ঝুঁকি কমায় এবং দুর্গন্ধ দূর করে।

৬. টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়

ডায়াবেটিস একটি মহামারী রোগে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতি বছর সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে।

দেহে ঠিক ভাবে ইনসুলিন উৎপন্ন না হলে অথবা ইনসুলিন ঠিক ভাবে কাজে না লাগলে রক্তে সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি দেহে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং রক্তে সুগারের পরিমাণ হ্রাস করে।

তাছাড়া জাপানের এক দল গবেষক জানিয়েছেন নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ কমে যায়।

জেনে নিন – ডায়াবেটিস রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা

৭. হার্টের সমস্যা রোধ করে

হার্টের বিভিন্ন সমস্যা ও স্ট্রোকের কারণে প্রতি বছর সারা বিশ্বে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যূ ঘটে। গ্রিন টি পান করার ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে।

পাশাপাশি এটি ট্রাইগ্লিসারাইডকে উন্নত করে। ফলে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা গ্রিন টি পান করেন তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩০ শতাংশ কমে যায়।