ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড ও সফট ড্রিংকসকে না বলুন

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড ও সফট ড্রিংকসকে না বলুন

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড ও সফট ড্রিংকসকে না বলুন

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড ও সফট ড্রিংকস ভূমিকা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে বার্গার, প্রিৎজা, স্যান্ডউইচ, চিকেন রোল, ফ্রেন্ডস ফ্রাই, কোকোকোলা সহ সকল ধরণের কোমল পানিয় আমাদের শরীরে কতটুকু ক্ষতি করছে তা আমরা বুঝতে পারছি না।

ফাস্টফুড যে খাবার দ্রুততম সময়ে তৈরি হয়। বলা হয়ে থাকে এরা সব দিক থেকেই খুব দ্রুত কাজ করে, যেমন খাবার তৈরি করা হয় দ্রুত তেমনি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দ্রুত রোগ ছড়িয়ে দেয়।

এ ধরণের খাবারের শর্করা বেশি থাকে ফলে ওজন বেড়ে স্থুলতা বা ওবেজ হয়ে যায়। ওজন বেড়ে যাওয়া ডায়াবেটিস ঝুঁকির মধ্যে অন্যতম একটি কারণ।

একটি প্লেট পিৎজা ৪০০ কিলো ক্যালরি, এর সাথে নিচ্ছেন একটি কোক তাহলে হিসাব করে দেখুন আপনি কত ক্যালরি নিচ্ছেন এক সাথে।

আমারা আমাদের জীবনের চাকাকে সহজ করার জন্য হাতের কাছে যে খাবার পাচ্ছি তাই খেয়ে নিচ্ছি, সুষম খাবারের বা স্বাস্থ্য কর খাবারের কথা চিন্তা করছি না।

এক ক্যান কোমল পানিয় থেকে ৩৯ গ্রাম শর্করা পাওয়া যায় (সম্পুর্ন চিনি থেকে) আর অধিক চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিপরীত ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুন – আপনার ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি কতটুকু

অল্প পুঁজি বেশি ব্যবসা করার জন্য ফাস্টফুড এর বিকল্প নেই। আর বেশি ব্যাবসার কথা চিন্তা করে খাবারের মান ঠিক রাখছে না ব্যবসায়ীরা। এই ধরণের আকার্শনীয় ফাস্টফুড এর বিষয়ে কয়েকটি কথা চিন্তা করা উচিৎ।

  • পোড়া তেলে রান্না- বেশিভাগ দোকানে দেখা যায় পোড়া তেলে রান্না করে থাকে। রমজান মাসে দেখা যায় মুখরোচক খাবারগুলো যে তেলে তৈরী হয় তার রং দেখা যায় বেশিভাগ কালো (পোড়া)।
  • অস্বাস্থ্য কর পরিবেশে রান্না- রন্ধন শালায় গেলে দেখা যায় কি পরিমাণ অস্বাস্থ্য কর পরিবেশে রান্না করা হয়।
  • খাবারের মান- মেয়াদ উর্ত্তীন্য খাবার, পচা বাসি খাবার তৈরি করতে দেখা যায়।
  • ফরমালিন যুক্ত খাবার- আবার দেখা যায় খাবারের মান ঠিক রাখতে অতিমাত্রায় মেডিসিন দেয়া হয়।

এই ধরণের খাবার খেয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আগে দেখা যেত ৩০ বছরের উপড়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হত কিন্তু এখন লাইফস্টাইল ও খাবারের কারণে ৩০ বছরের কম বয়সেই টাইপ-২ ডায়াবেটিস ধরা পরছে।

এই খাবার খেয়ে শুধু ডায়াবেটিস না, সাথে সাথে হৃদরোগ, কিডনি, হার্ট , উচ্চ রক্তচাপ সহ নানান জটিলতাগুলো দেখা দিচ্ছে। পেটের অসুখ, ডায়ারিয়া, ফুড পয়োজন মত সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।

বলা হয়ে থাকে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে ৬০-৭০ ভাগ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়। ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুণ ডায়াবেটিসকে দূরে রাখুন।