তেজপাতার এত তেজ! জেনে নিন তেজপাতার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যগুণ

তেজপাতার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যগুণ

তেজপাতার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যগুণ

তেজপাতার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যগুণ

আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি, তেজপাতার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যগুণ জানার পরে আপনি অবাক হবেন। কেননা একটি পাতার মধ্যে এত গুনাগুন থাকতে পারে যা অবাক করা ব্যাপারই। সরাসরি তেজপাতার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যগুণ জানার আগে আসুন তেজপাতা সম্পর্কে কিছু জেনে নেই।

তেজপাতা সম্পর্কে কিছু তথ্য

  • তেজপাতার ইংরেজি – Bay leaf একধরনের অ্যাণ্টি- ইনফ্যাল্মটারী।
  • এটি এক ধরনের সুগন্ধি মসলা এবং এর কাঁচা পাতার রং সবুজ। সবুজ পাতা শুনানো হলে পাতার রঙ হয় বাদামি।
  • তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন ‘ই’ ও ‘সি’।
  • তেজপাতায় আছে ফলিক অ্যাসিড এবং নানা ধরনের খনিজ উপাদান।
  • প্রাচীন গ্রিকরা তাদের যুদ্ধের হিরোকে তেজপাতার মালা পরিয়ে দিত।

তেজপাতার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যগুণ

তেজপাতা রান্নার কাজে, বিভিন্ন পানীয় বানাতে, ত্বক ও চুলের যত্নে, এমনকি এই সুগন্ধি পাতা পারফিউম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

হজমশক্তি বাড়াতে তেজপাতা

খাবারের পুষ্টি উপাদান পরিপাক করতে সহায়তা করে এবং শরীরের হজম প্রক্রিয়া দ্রুত বাড়িতে দেয়। তেজপাতায় থাকা ঝালভাব খাবারে রুচি আনে। এ ছাড়া পেটফাঁপা, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদির চিকিৎসায় তেজপাতার ব্যবহার রয়েছে।  

সর্দিকাশি এড়াতে

তেজপাতায় “অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল” (Antimicrobial) উপাদান থাকায় শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সহায়ক। সর্দিকাশি, কফ, ফ্রু থেকে মুক্তি পেতে তেজপাতা সেদ্ধ করে খাওয়া কিংবা বুকে মাখা যেতে পারে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে তেজপাতা

তেজপাতার মাধ্যমে ঝালভাব আনা স্বাস্থ্যকম রান্নায় কমতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। কারন তেজপাতায় থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান স্বাস্থ্য এবং হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।  

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তেজপাতা

তেজপাতা রক্তে গ্লুকোজ ও কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১.৫ থেকে ৩.৫ গ্রাম তেজপাতা গ্রহল করতে পারলে ইনসুলিনের মাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পড়ুন – আপনার ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি কতটুকু

শরীরের বিভিন্ন ব্যথা কমাতে

তেজপাতার এসেনসিয়াল অয়েল শরীরের বিভিন্ন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ব্যথাযুক্ত জোড়া কিংবা টান পড়া মাংসপেশিতে এই তেল মালিশ করতে পারেন।   

এছাড়া ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং কিডনিতে পাথর হওয়া রুখতে তেজপাতা বেশ ভূমিকা রাখে।

তেজপাতার সৌন্দর্যবর্ধক উপকারিতা

তারুন্যদীপ্ত ত্বক ধরে রাখতে তেজপাতা ভেজানো ফুটন্ত পানির বাষ্প মুখে লাগাতে পারেন।

শরীরের দুর্গন্ধ কমাতে কুসুম গরম পানিতে তেজপাতা ভিজিয়ে রাখুন এবং তা দিয়ে গোসল করুন।

উজ্জল দাঁত পেতে সপ্তাহে কয়েকবার তেজপাতা ঘসা যেতে পারে।

খুশকি ও চুলপড়া কমাতে তেজপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ধুলে খুশকি কমে। চুলপড়া বন্ধ করতেও বেশ কার্যকর।