মানসিক চাপ কমাতে আট উপায়

মানসিক চাপ কমাতে আট উপায়

মানসিক চাপ কমাতে

মানসিক চাপ কমাতে

অস্বাভাবিক চিন্তা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকার অনুভূতিই মানসিক চাপ। বর্তমানে আমাদের এই বিশ্বে মানসিক চাপে থাকে না এই রকম খুব কম মানুষই আছে। হয়ত আরো বেশী বা কারো কম। কেউ ব্যবসা নিয়ে মানসিক চাপে থাকে, কেউ চাকরি না পেয়ে, কেউ সাংসারিক কোলাহল আবার কেউ প্রমে ব্যর্থ হয়ে ভুগে মানসিক চাপে।

আপনার মানসিক চাপ যে কারনেই হোক না কেন তার থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবে সমস্যা ভেদে সময় লাগে। আজকের এই পোস্টে আমি মানসিক চাপ কমাতে আট উপায় আপনার সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি আপনার চাপ কমাতে কিছুটা সাহায্য করবে।

মানসিক চাপের প্রকৃত কারণগুলি চিহ্নিত করুন

কোন সমস্যার সমাধান করার আগে আগে তার প্রকৃত কারণগুলি চিহ্নিত করতে হয়। আপনি যেও কারনে খুব টেনশনে আছে তার আসল কারন খুঁজে বের করুন।

আপনার যদি অনেকগুলো সমস্যা থাকে তাহলে কোনটি বেশী গুরুত্বপূর্ণ তা খুঁজে বের করুন। সমস্যা নির্ণয়ের পর সমাধানের সহজ এবং সঠিক পথে বেছে নিন এবং সামনের দিকে অগ্রসর হোন।

শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন

যখন আপনি অনেক বেশী চাপ বা উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকবেন তখন শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। এর জন্য আপনাকে শান্ত হয়ে বসে নাক দিয়ে একটি লম্বা শ্বাস নিতে হবে এবং মুখ দিয়ে চাড়তে হবে। এভাবে ৫/৬ বার করলে আপনি তাৎক্ষনিক ভাবে অনেকটা চাপ কমাতে পারবেন।

মানসিক চাপ কমাতে পর্যাপ্ত ঘুমান

আপনি যেই বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন তা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে শরীর খারাপ করবেন না। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানসিক ভাবে আপনি আরো ভেঙ্গে পড়তে পারেন।

ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন ব্যায়াম করলে মানসিক চাপ তৈরিকারী হরমোনগুলো কমাতে থাকে। এর জন্য আপনাকে খুব ভারী শারীরিক ব্যায়াম না করলেও চলবে। প্রতিদিন খোলা বাতাসে ৩০ মিনিট হাঁটুন।

আরো পড়ুন – প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা।  

কোথাও ঘুরতে যান

কিছু দিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যান। জায়গা পরিবর্তন হলে মন ভাল থাকে। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। প্রকৃতি, আলো-বাতাসের সঙ্গে সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে।

চাপের মধ্যে থাকার সময়ও ইতিবাচক চিন্তা করুন

হতাশ হবেন না। ইতিবাচক চিন্তা করুন এতে আপনার মন শান্ত থাকবে। সংকটময় পরিস্থিতিতি সব সময় থাকে না। যেমন রাতের পরে দিনের আলো দেখা যায় তেমনি আপনার উৎকণ্ঠা, ভয়, হতাশা স্থায়ী নয়।

কারো সাথে কথা বলুন

এমন কারো সাথে আপনার মানসিক চাপের কথা বলুন যে আপনাকে বুজতে পারে। আপনার দিক থেকে চিন্তা করতে পারে ফলে অনেকটা চাপ কমবে।

বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের সাথে, খুব কাছের বন্ধুর সাথে, অফিসের সহকর্মীর সাথে আপনি শেয়ার করতে পারেন। এতে তাৎক্ষনিক ফলাফল পাওয়া যায়।

ধৈর্য ধরুন

আজকের দিন যেমন আগামীকাল আসে না, ঠিক তেমনি আজকের হতাশা আগামীকাল থাকে না। ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা মানব চরিত্রের উত্তম গুণাবলির অন্যতম।